I collect material related to this movement from wherever possible and post them here. I was born much after this movement.
মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২
Hungryalist short story writer Basudeb Dasgupta with wife and son
শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২২
A reader par excellence
From Krishnagar, West Bengal, she, Sonali Chakraborty, crossed two rivers on boats, took a taxi and reached Dumdum airport for a flight to Mumbai and met Malay Roychoudhury just for a day. She collected more than twenty books written by Malay and went back the same day.
…………………………………………………………………………………………
যেমত নেশাতুর হরিণীর তারারন্ধ্র স্থির ও উদাস থাকে বিশালতায়
প্রায় বছর আড়াই পর আবার উঠোন ভাঙতে গিয়ে প্রথম জানা গেলো কখন গালিব বলেছিলেন "কিতনি খউফ হোতে হ্যায় শাম কে অন্ধেরো মে, পুছ উন পরিন্দো সে জিনকে ঘর নেহি হোতে"। নিজের হাজার ব্যস্ততাকে উপেক্ষা করে প্যাকিং, বোর্ডিং পাস, কার্ড ব্যালেন্স চেক করে মেয়েকে ছেড়ে দেওয়ার আগে "জাস্ট ঘুমোতে যাওয়ার সময় gdn8 টা লিখে ঘুমোবে যদি ঘুমোতে মনে থাকে" বলে আর একবারও পিছনে না তাকিয়ে সোজা নিজের দুর্গে ফিরে যাওয়ার প্রবল পুরুষটি আর দাঁড়িয়ে থাকবে না ব্যালকনিতে যখন আমি ফিরবো...
খুব সহজ ছিলো না তাই এই সফর অথচ যেতে আমায় হতোই। ভাঙা বাতিঘর থেকে নাড়ি কাটা সূর্যকে দেখার জন্য যে নশ্বরতা, তার দায় থাকে। রামধনু দিয়ে কাজল পরে যে ফ্লাইটে উঠেছিলাম বৃষ্টি আর বিদ্যুত তাকে ধুয়ে কিছু অতিরিক্ত ক্লান্তি আঁকতে পেরেছিলো মাত্র। যে কোনো ডানার উড়াল আকাশের ব্যক্তিগত ভালো লাগার তালিকায় আছে, ঝড়ে যে উড়োজাহাজ আটকে না থেকেছে, তার যাত্রী না হলে এই প্রসঙ্গে সম্যক জ্ঞান জন্মায় না।
কিংবদন্তী যে প্রেমিক তাঁর মাথা কেটে আমায় পাঠিয়েছিলেন, তাঁর পায়ে একবার হাত না রাখলে অপরাধ হয় অথচ তিনি যেহেতু বললেন "আর তো দেখা হবে না", বরাবরের উন্মাদিনী আমার ভিতরে জিহাদ এলো তাঁকে ভুল প্রমাণের, সুতরাং প্রণাম করিনি, আবার দেখা হবে এই বিশ্বাসে।
প্রেমে পড়ার মতো ভয়ঙ্কর সুন্দরী দুই বিদুষী একত্রে ছিলেন, শীলা দি ও নূপুর দি, আমার ভিতরের তরঙ্গে "ইন্দুবালা গো, তুমি কার আকাশে থাকো, জোছনা কার মাখো" বাজছিলো, সামনে মলয় আর অর্ঘ্য দা ছিলেন বলে প্রকাশ করা গেলো না সেভাবে, কপাল। ও হ্যাঁ, আমি জাতিস্মর নই, নিয়তি নিজে লিখি তাই প্রসঙ্গত উল্লেখ্য অর্ঘ্য দা ও নূপুর দির সঙ্গে পরবর্তী জন্মের মৌ সই করা আছে।
এতো বই পাওয়া হলো আদর টইটই চকোলেট (আমি বৃদ্ধা হইলেও কিছু কিউটস্য বন্ধু আমার আছে) সহ, দেবদূত বিরাট একটি ব্যাগ কিনে দিলেন ছত্রপতি থেকে আমার করুণ অবস্থা দেখে, সেও উপহারই। জানলাম এখন আর আমরা ভারতীয় এয়ারপোর্টে বসি না, 'আদানী লাউঞ্জ' এ রেস্ট করি, এও জানা হলো ভিস্তারা দীর্ঘ যাত্রায় খেতে দেয় না, 'হিন্দু মিল' সার্ভ করে। এই দেশ বিচিত্র ছিলোই কিন্তু দিনে দিনে আমার বড় অপরিচিত হয়ে উঠছে সেলুকাস, কোথা যাই বলো তো?
মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২২
Sonali Chakraborty visits Malay Roychoudhury
উত্তরাধুনিক রানুর উত্তরাধুনিক ভানুর গৃহে পদার্পন সম্পর্কিত
যেমত নেশাতুর হরিণীর তারারন্ধ্র স্থির ও উদাস থাকে বিশালতায়
প্রায় বছর আড়াই পর আবার উঠোন ভাঙতে গিয়ে প্রথম জানা গেলো কখন গালিব বলেছিলেন "কিতনি খউফ হোতে হ্যায় শাম কে অন্ধেরো মে, পুছ উন পরিন্দো সে জিনকে ঘর নেহি হোতে"। নিজের হাজার ব্যস্ততাকে উপেক্ষা করে প্যাকিং, বোর্ডিং পাস, কার্ড ব্যালেন্স চেক করে মেয়েকে ছেড়ে দেওয়ার আগে "জাস্ট ঘুমোতে যাওয়ার সময় gdn8 টা লিখে ঘুমোবে যদি ঘুমোতে মনে থাকে" বলে আর একবারও পিছনে না তাকিয়ে সোজা নিজের দুর্গে ফিরে যাওয়ার প্রবল পুরুষটি আর দাঁড়িয়ে থাকবে না ব্যালকনিতে যখন আমি ফিরবো…
খুব সহজ ছিলো না তাই এই সফর অথচ যেতে আমায় হতোই। ভাঙা বাতিঘর থেকে নাড়ি কাটা সূর্যকে দেখার জন্য যে নশ্বরতা, তার দায় থাকে। রামধনু দিয়ে কাজল পরে যে ফ্লাইটে উঠেছিলাম বৃষ্টি আর বিদ্যুত তাকে ধুয়ে কিছু অতিরিক্ত ক্লান্তি আঁকতে পেরেছিলো মাত্র। যে কোনো ডানার উড়াল আকাশের ব্যক্তিগত ভালো লাগার তালিকায় আছে, ঝড়ে যে উড়োজাহাজ আটকে না থেকেছে, তার যাত্রী না হলে এই প্রসঙ্গে সম্যক জ্ঞান জন্মায় না।
কিংবদন্তী যে প্রেমিক তাঁর মাথা কেটে আমায় পাঠিয়েছিলেন, তাঁর পায়ে একবার হাত না রাখলে অপরাধ হয় অথচ তিনি যেহেতু বললেন "আর তো দেখা হবে না", বরাবরের উন্মাদিনী আমার ভিতরে জিহাদ এলো তাঁকে ভুল প্রমাণের, সুতরাং প্রণাম করিনি, আবার দেখা হবে এই বিশ্বাসে।
প্রেমে পড়ার মতো ভয়ঙ্কর সুন্দরী দুই বিদুষী একত্রে ছিলেন, সলিলা দি ও নূপুর দি, আমার ভিতরের তরঙ্গে "ইন্দুবালা গো, তুমি কার আকাশে থাকো, জোছনা কার মাখো" বাজছিলো, সামনে মলয় আর অর্ঘ্য দা ছিলেন বলে প্রকাশ করা গেলো না সেভাবে, কপাল। ও হ্যাঁ, আমি জাতিস্মর নই, নিয়তি নিজে লিখি তাই প্রসঙ্গত উল্লেখ্য অর্ঘ্য দা ও নূপুর দির সঙ্গে পরবর্তী জন্মের মৌ সই করা আছে।
এতো বই পাওয়া হলো আদর টইটই চকোলেট (আমি বৃদ্ধা হইলেও কিছু কিউটস্য বন্ধু আমার আছে) সহ, দেবদূত বিরাট একটি ব্যাগ কিনে দিলেন ছত্রপতি থেকে আমার করুণ অবস্থা দেখে, সেও উপহারই। জানলাম এখন আর আমরা ভারতীয় এয়ারপোর্টে বসি না, 'আদানী লাউঞ্জ' এ রেস্ট করি, এও জানা হলো ভিস্তারা দীর্ঘ যাত্রায় খেতে দেয় না, 'হিন্দু মিল' সার্ভ করে। এই দেশ বিচিত্র ছিলোই কিন্তু দিনে দিনে আমার বড় অপরিচিত হয়ে উঠছে সেলুকাস, কোথা যাই বলো তো?