I collect material related to this movement from wherever possible and post them here. I was born much after this movement.
সোমবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৮
১৯৬৩ সালে প্রকাশিত হাংরি আন্দোলনের বুলেটিন নম্বর ৬৫
রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৮
Hungryalist poet Tridib Mitra's book "PROLAP DUHKHO" হাংরি আন্দোলনের কবি ত্রিদিব মিত্রের কাব্যগ্রন্হ "প্রলাপ দুঃখ"
HUNGRYALIST magazine UNMARGA edited by Tridib Mitra & Alo Mitra ত্রিদিব মিত্র ও আলো মিত্র সম্পাদিত হাংরি আন্দোলনের পত্রিকা "উন্মার্গ"
Hungryalist magazine WASTE PAPER edited by Tridib Mitra & Alo Mitra ত্রিদিব মিত্র ও আলো মিত্র সম্পাদিত হাংরি আন্দোলনের পত্রিকা 'ওয়েস্ট পেপার'
ত্রিদিব মিত্র ও আলো মিত্র সম্পাদিত হাংরি আন্দোলনের পত্রিকা 'উন্মার্গ' Hungryalist magazine edited by Tridib Mitra & Alo Mitra
HUNGRYALIST poet Tridib Mitra's book GHULGHULI, হাংরি আন্দোলনের কবি ত্রিদিব মিত্রের কাব্যগ্রন্হ "ঘুলঘুলি"
শনিবার, ৬ মে, ২০১৭
হাংরি আন্দোলন : সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় কেন মুচলেকা দিয়ে পুলিশের সাক্ষী হয়েছিলেন । তাঁর নিজের কথায় ।
সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়-এর স্বীকৃতি
সে-সময়ে আমাদের কেউই পাত্তা দিত না, যারা হাংরি আন্দোলন শুরু করে, সেই মলয় রায়চৌধুরী এবং সমীর রায়চৌধুরী আমাকে জানান যে আমার লেখা ওদের ভালো লেগেছে, ওরা যে-ধরণের লেখা ছাপতে চায়, তা নাকি আমার লেখায় ওরা দেখতে পেয়েছে, তাই আমার লেখা ওরা ছাপতে চায় । ওদের কাছে পাত্তা পেয়ে আমি খুবই আহ্লাদিত হয়েছিলুম ।
হাংরি আন্দোলনের ইস্তাহার আমি অনেক পরে দেখেছি । সে-সময়ে শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের একটা গল্প আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছিল । বলতে গেলে সেই গল্পটার জন্যই আমি হাংরি আন্দোলনের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলুম । গল্পটার নাম আমার ঠিক মনে নেই । গল্পটা ছিল অনেকটা এইরকম -- একটা ছেলে, তাত ভীষণ খিদে । একদিন ছাত্রীকে পড়াতে-পড়াতে ছাত্রীর আঁচলের খুঁট খেতে শুরু করে । এইভাবে সে একটু-একটু করে পুরো শাড়িটা খেয়ে ফ্যালে । তাত তার বেশ ভালোই লাগে । তখন সে তার ছাত্রিকেই খেতে শুরু করে । একটু টক টক লাগে কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুরো ছাত্রীকেই সে খেয়ে ফ্যালে । এ ব্যাপারটায় সে বেশ মজা পেয়ে যায় । এরপর থেকে সে অনেক কিছুই খেতে শুরু করে । যেমন জানালা, চেয়ার, ছাপাখানা, নোটবুক ইত্যাদি । একদিন এক হোটেলের সান্ত্রিকেই সে খেয়ে ফ্যালে । এই ছেলেটিই একদিন গঙ্গার ধারে তার প্রেমিকাকে নিয়ে বসেছিল । হঠাৎ তার সেই খিদেটা চাগাড় দিয়ে ওঠে । তখন সেই ছেলেটি গঙ্গার পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটা জাহাজকে খেতে যায় । কিন্তু সেই ছেলেটি জাহাজটাকে খেতে পারে না । জাহাজটা ছেড়ে দ্যায় । তখন সেই ছেলেটি একটা চিরকুট গঙ্গায় ভাসিয়ে দেয় । সেটা ঠিক কার উদ্দেশে ভাসিয়েছিল তা জানা জায় না । ছেলেটির প্রেমিকার উদ্দেশ্যেও হতে পারে । পৃথিবীর উদ্দেশ্যেও হতে পারে । বা অন্য কিছুও হতে পারে । এখানেই গল্পটা শেষ । এই গল্পটা আমাকে সেসময়ে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছিল এবং আমার মনে হয়েছে ক্ষুৎকাতর আন্দোলনের এটিই মূল কথা ।
আমি হাংরি আন্দোলনের সঙ্গে ভীষণভাবেই জড়িত ছিলাম । হাংরি আন্দোলনের আদর্শ --- আমার ভালো লেগেছিল এবং তা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেছিলাম বলেই আমি ওদের সঙ্গে ছিলাম । এব্যাপারে আমার কোনো দ্বিমত নেই । কিন্তু পরের দিকে ওরা আমাকে না জানিয়ে আমার নামে পত্রিকা-টত্রিকা বার করে । যা আমাকে ক্ষুব্ধ করেছিল ।
তখন আমি কৃত্তিবাসের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম । কিন্তু এই হাংরি আন্দোলন যখন শুরু হয় তখন সুনীল আমেরিকায় । এই আন্দোলনকে সুনীলের অসাক্ষাতে একটা ক্যু বলতে পারা যায় ।
প্রতিষ্ঠানের লোভ আমার কোনো দিনই ছিল না । বাংলাদেশে যদি কেউ প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার ভূমিকা পালন করে থাকে তবে তা আমি । আমার "বিজনের রক্তমাংস" গল্পটি বেরোনোর পর থেকে আমার সে-ভূমিকা অব্যাহত।
আমি মনে করো ওরকমভাবে দল পাকিয়ে সাহিত্য হয় না । একজন লেখক নিজেই অতীত, নিজেই ভবিষ্যত, নিজের সমাজ, নিজেই সভ্যতা, এবং নিজেই সবকিছু । সাহিত্য সৃষ্টিতে দলের কোনো ভূমিকা থাকতে পারে না ।
আমি মুচলেকা দিয়েছিলাম তার দুটো কারণ । এক, আমি পুলিশকে ভীষণ ভয় পাই আর দুই, আমার বউ আমাকে জেলে যেতে বারণ করেছিল । বউ বলল যে, একেই তো তোমার মতো মদ্যপকে বিয়ে করার জন্য আমার আত্মীয় পরিজনরা সব আমার সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়েছে । তার ওপর তুমি যদি জেলে যাও, তাহলে সোনায় সোহাগা হবে । সেজন্যই আমি ওদের সঙ্গে সব সম্পর্ক ত্যাগ করি ।
Sandipan Chattopadhyay as Police Witness
in Hungry Generation Trial in 1964
সে-সময়ে আমাদের কেউই পাত্তা দিত না, যারা হাংরি আন্দোলন শুরু করে, সেই মলয় রায়চৌধুরী এবং সমীর রায়চৌধুরী আমাকে জানান যে আমার লেখা ওদের ভালো লেগেছে, ওরা যে-ধরণের লেখা ছাপতে চায়, তা নাকি আমার লেখায় ওরা দেখতে পেয়েছে, তাই আমার লেখা ওরা ছাপতে চায় । ওদের কাছে পাত্তা পেয়ে আমি খুবই আহ্লাদিত হয়েছিলুম ।
হাংরি আন্দোলনের ইস্তাহার আমি অনেক পরে দেখেছি । সে-সময়ে শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের একটা গল্প আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছিল । বলতে গেলে সেই গল্পটার জন্যই আমি হাংরি আন্দোলনের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলুম । গল্পটার নাম আমার ঠিক মনে নেই । গল্পটা ছিল অনেকটা এইরকম -- একটা ছেলে, তাত ভীষণ খিদে । একদিন ছাত্রীকে পড়াতে-পড়াতে ছাত্রীর আঁচলের খুঁট খেতে শুরু করে । এইভাবে সে একটু-একটু করে পুরো শাড়িটা খেয়ে ফ্যালে । তাত তার বেশ ভালোই লাগে । তখন সে তার ছাত্রিকেই খেতে শুরু করে । একটু টক টক লাগে কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুরো ছাত্রীকেই সে খেয়ে ফ্যালে । এ ব্যাপারটায় সে বেশ মজা পেয়ে যায় । এরপর থেকে সে অনেক কিছুই খেতে শুরু করে । যেমন জানালা, চেয়ার, ছাপাখানা, নোটবুক ইত্যাদি । একদিন এক হোটেলের সান্ত্রিকেই সে খেয়ে ফ্যালে । এই ছেলেটিই একদিন গঙ্গার ধারে তার প্রেমিকাকে নিয়ে বসেছিল । হঠাৎ তার সেই খিদেটা চাগাড় দিয়ে ওঠে । তখন সেই ছেলেটি গঙ্গার পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটা জাহাজকে খেতে যায় । কিন্তু সেই ছেলেটি জাহাজটাকে খেতে পারে না । জাহাজটা ছেড়ে দ্যায় । তখন সেই ছেলেটি একটা চিরকুট গঙ্গায় ভাসিয়ে দেয় । সেটা ঠিক কার উদ্দেশে ভাসিয়েছিল তা জানা জায় না । ছেলেটির প্রেমিকার উদ্দেশ্যেও হতে পারে । পৃথিবীর উদ্দেশ্যেও হতে পারে । বা অন্য কিছুও হতে পারে । এখানেই গল্পটা শেষ । এই গল্পটা আমাকে সেসময়ে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছিল এবং আমার মনে হয়েছে ক্ষুৎকাতর আন্দোলনের এটিই মূল কথা ।
আমি হাংরি আন্দোলনের সঙ্গে ভীষণভাবেই জড়িত ছিলাম । হাংরি আন্দোলনের আদর্শ --- আমার ভালো লেগেছিল এবং তা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেছিলাম বলেই আমি ওদের সঙ্গে ছিলাম । এব্যাপারে আমার কোনো দ্বিমত নেই । কিন্তু পরের দিকে ওরা আমাকে না জানিয়ে আমার নামে পত্রিকা-টত্রিকা বার করে । যা আমাকে ক্ষুব্ধ করেছিল ।
তখন আমি কৃত্তিবাসের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম । কিন্তু এই হাংরি আন্দোলন যখন শুরু হয় তখন সুনীল আমেরিকায় । এই আন্দোলনকে সুনীলের অসাক্ষাতে একটা ক্যু বলতে পারা যায় ।
প্রতিষ্ঠানের লোভ আমার কোনো দিনই ছিল না । বাংলাদেশে যদি কেউ প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার ভূমিকা পালন করে থাকে তবে তা আমি । আমার "বিজনের রক্তমাংস" গল্পটি বেরোনোর পর থেকে আমার সে-ভূমিকা অব্যাহত।
আমি মনে করো ওরকমভাবে দল পাকিয়ে সাহিত্য হয় না । একজন লেখক নিজেই অতীত, নিজেই ভবিষ্যত, নিজের সমাজ, নিজেই সভ্যতা, এবং নিজেই সবকিছু । সাহিত্য সৃষ্টিতে দলের কোনো ভূমিকা থাকতে পারে না ।
আমি মুচলেকা দিয়েছিলাম তার দুটো কারণ । এক, আমি পুলিশকে ভীষণ ভয় পাই আর দুই, আমার বউ আমাকে জেলে যেতে বারণ করেছিল । বউ বলল যে, একেই তো তোমার মতো মদ্যপকে বিয়ে করার জন্য আমার আত্মীয় পরিজনরা সব আমার সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়েছে । তার ওপর তুমি যদি জেলে যাও, তাহলে সোনায় সোহাগা হবে । সেজন্যই আমি ওদের সঙ্গে সব সম্পর্ক ত্যাগ করি ।
Sandipan Chattopadhyay as Police Witness
in Hungry Generation Trial in 1964
লেবেলসমূহ:
কাওয়ার্ড,
কৃত্তিবাস,
প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা,
মুচলেকা,
রাজসাক্ষী,
Hungry Court Case,
Hungryalism
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)