শুক্রবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১২

সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে কী যে গোলমাল

সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় স্বয়ং গড়ে তুলেছেন নিজের হাংরি গুলগল্প । তিনি ছিলেন ? ছিলেন না ? ছিলেন ? ছিলেন না ?
তিনি ছিলেন । প্রমাণ ? নিজেই নিজের সম্পর্কে তিনি আত্মপরিচয় দিয়েছেন । কোথায় বলুন তো ? আমাদের অর্জুন সে সংবাদ বয়ে এনেছে একেবারে জতুবাড়ির ছাই থেকে ।
আন্দোলনের সময়ে তিনি প্রতিদিন সাইকেল চালিয়ে দেবী রায়ের বাড়ি যেতেন । দেবী রায়কে অনুরোধ করতেন যে তাঁর লেখা প্রতিটি সংখ্যায় 'অন্তত কয়েক প্যারা' প্রকাশ করা হোক । 
আদিল জুসসাওয়ালা একটি সংকলন সম্পাদনা করেছিলেন । তাতে সন্দীপন জানিয়েছেন যে তিনি, শক্তি চট্টোপাধ্যায় উৎপলকুমার বসু, এই তিনজন 'হাংরি জেনারেশন' নামক একটি সাহিত্য আন্দোলনের উদ্ভাবক ।
সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের 'গ্রেট লিপ' ঘটল আয়ওয়া থেকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ধাতানি খেয়ে । সেই চিঠিটিতে সুনীল সন্দীপনকে বলছেন হাংরিদের সঙ্গ ত্যাগ করতে, কেননা হাংরিরা কৃত্তিবাসকে ভেঙে দিতে চাইছে ।
সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় কোর্টে হাংরি জেনারেশনের বিরুদ্ধে সাক্ষী হয়ে গেলেন !!!!!! পুলিশের সাক্ষী । সাক্ষ্য বাবদ কত টাকা পেয়েছিলেন ? মমমমমম.......   
Sandipan Chattopadhyay
                 

বুধবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১২

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় মশায়ের হুমকি : আন্দোলন ভেঙে দেবো

আমাদের দলের সহদেব, পিৎজা আর পেপসি এনে বলল, নেটে একটা মজার চিঠি খুঁজে পেয়েছি । সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আয়ওয়া থেকে হুমকি দিচ্ছেন, "দেশে ফিরে আন্দোলন ভেঙে দেবো, সব হুশিয়ার ।" চিঠিটা উনি লিখেছিলেন সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়কে ; অক্ষরে অক্ষরে গোঁসা টুপ টুপ করে ঝরে পড়ছে । শক্তি চট্টোর উপর, উৎপল বসুর উপর, সন্দীপনের উপর, মলয়ের উপর । 
উনি ফিরলেন ; হাংরিরা গ্রেপ্তার হল ; উনি পাকাপাকি চাকরি পেলেন আনন্দবাজার পত্রিকায় ।
সহদেব বলল, পিৎজার একটা টুকরো এগিয়ে দিয়ে, অর্জুনদা, গল্পটা তাহলে খাপে খাপ মিলে যাচ্ছে । হাংরিরা তো তখন চুনোপুঁটি, তাদের এত ভয়ের কারণ কী ? প্রকারান্তরে স্বীকৃতি ? ওরা টেক্কা মেরে দিলে !

সুনীলবাবুর চিঠি, সন্দীপনবাবুকে, ১৯৬৪ সালে

রবিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১২

দেবেশ রায় : ইনি কি জ্ঞানপাপী সাহিত্যিক ?

হাংরি কিংবদন্তি বইটা আজও বই-বাজারে পাওয়া গেল না । আমরা পাঁচ জন কলকাতার বইয়ের দোকান ও ফুটপাতের পুরানো বই ঘেঁটে কোথাও পেলাম না।
পরিবর্তে, আমাদের যিনি ভীম, তিনি এই অমূল্য উদ্ধৃতিটি সংগ্রহ করে এনেছেন। এটি যিনি লিখেছেন, দেবেশ রায়, তিনি এক কথায় নিজেকে 'কাওয়ার্ড' বলতে পারতেন ; তাহলে ঘুরিয়ে নাক দেখাতে হতো না ।
 
"হাংরিদের উত্তেজনা ছড়াবার চেষ্টার সেই দিন বছরগুলি পেরিয়ে আজ তাঁদের রচনার সন্মুখীন হতে হচ্ছে যখন, তখন, আমি নিজেকে খানিকটা দায়ী না ভেবে পারি না । কেন আমি সেদিনই হাংরি নামধেয় হলেও সাহিত্যের পক্ষে দাঁড়াবার মতো ওয়াকিবহাল ছিলাম না ? তাএটি আমার বিলম্বিত সওয়াল, শারীরিকভাবে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়ানো সাহিত্যের পক্ষে ।"

মালুম হল কিছু ? সে-সময়ে তিনি প্রতিষ্ঠানের পত্র-পত্রিকায় উপন্যাস প্রকাশের প্রয়াস করছিলেন যে ! হাংরিদের পক্ষে দাঁড়ালে তা ভেস্তে যেত । এখন নানা পুরস্কার, ডজন-ডজন বই, শতেক শিষ্যশিষ্যা পরিবৃত দেবেশবাবু যৎসামান্য মড়াকান্না কেঁদে নিলেন ।
না কাঁদলেও চলত !!

শনিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১২

তরুণ সান্যাল : কিংবদন্তিপুপরুষ

হাংরিদের ব্লগগুলো থেকে জানতে পারলাম যে তরুণ সান্যাল স্বেচ্ছায় তাঁদের কোর্ট কেসে সাক্ষী হতে চেয়েছিলেন । তাঁকে তাঁর রাজনৈতিক দল নিষেধ করেছিল ; তিনি তা উপেক্ষা করে সাক্ষ্য দেন ।
অপরপক্ষে সুনীল গঙ্গোকে দেখুন । তিনি সাক্ষ্য দিয়ে পরে কতরকমের কথা বলাবলি করলেন । তাঁকে যে সমীর রায়চৌধুরী অনুরোধ করেছিলেন, সে কথাও সবারই জানা ।
আরেকজন হলেন শঙ্খ ঘোষ, সর্বঘটে কাঁঠালিকলা । তিনি নাকি সাক্ষ্য দিতে অস্বীকার করেছিলেন । ভালো করেছিলেন । শঙ্খ  ঘোষ হলেন লোহার পাথরবাটি । কখনও সিপিএম দলের পোঁ আবার কখনও তৃণমূলের পোঁ ।  তাঁর বইগুলো বিক্রী হলেই হল । তিনি অকাদেমি বলুন বা অ্যাকাডেমি, গাছেরও খাবেন, তলারও কুড়োবেন ।
সবার মাঝে তরুণ সান্যালএকমাত্র মহামানব । তাঁর আশি বছর পূর্তিতে আমাদের স্যালিউট ।  

শুক্রবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১২

বিমান বসু কী বললেন, হাংরি আন্দোলন নিয়ে ?

সাধে কি আর আন্দোলনটি কিংবদন্তি হয়ে উঠেছে ! সিপিএই ( এম ) এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এই সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে  ( ২৪.১০.২০১২ ) , বেশ মজার, পড়ুন এবং চক্ষুকে চড়কগাছ করুন:
"While recalling the memories of the past in sixties' students' movement days, Left Front Chairman Biman Basu said that 'we were deeply attracted to Sunil Da's Krittibas during those turbulent days.' Basu also added that Krittibas remained a stalwart publication among those being published from Coffee House, for which the entire credit goes to Sunil Da. He introduced the tale of Hungry Generation in our literature as if we were made at par with Beatles of Europe."

বুঝলেন কিছু ? কৃত্তিবাস নাকি কফি হাউস থেকে প্রকাশিত হতো ! সুনীলদা নাকি হাংরি জেনারেশনের গল্পের সঙ্গে বাংলা সাহিত্যের পরিচয় ঘটিয়েছিলেন !  হাংরিরা নাকি ইউরোপের বিলসদের সমকক্ষ !!

সমীর রায়চৌধুরী স্মৃতিচারণ করার সময়ে জানিয়েছেন, বিমান বসু যে-সময়ের ছাত্র আন্দোলনের কথা বলছেন, সে-সময়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন কংগ্রেস নেতা অতুল্য ঘোষ-এর সংবাদপত্র 'জনসেবক'-এর রবিবাসরীয় সম্পাদক । সুনীল সে-সময়ে ছিলেন ঘোর কমিউনিস্ট-বিরোধী ! 

হাংরি নিয়ে বিড়ি নিউজ

নিঃসন্দেহে বিড়ি । পাবলিক যখন কিংবদন্তি গড়ে তার তুলনা হয় না । বাংলাদেশের বিড়ি নিউজ ২৫.১০.২০১২-এর সংবাদে জানিয়েছে যে: "Sunil was one of the activists of Hungryalist literary movement in India."

মারহাব্বা ! সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর কৃত্তিবাস পত্রিকায় সম্পাদকীয় লিখে ঘোষণা করেছিলেন যে তাঁর সঙ্গে হাংরি জেনারেশন আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই, এবং তিনি ওই আন্দোলন পছন্দ করেন না ।
 

বৃহস্পতিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১২

হাংরি নিয়ে যত মিথ তত রহস্য

হাংরি কিংবদন্তি নামে একটি গ্রন্হ লিখেছিলেন মলয় রায়চৌধুরী । বহু চেষ্টা করেও  বইটি সংগ্রহ করতে পারিনি । 
হাংরি জেনারেশান সম্পর্কিত যাবতীয় কিংবদন্তি আমি বিভিন্ন ব্লগ থেকে সংগ্রহ করে এই ব্লগে তুলে আনব মনস্হ করেছি ।
ব্লগ লেখকগণ যে কে কতটা গঞ্জিকা সেবন করে লিখেছেন , তা স্পষ্ট হবে আশা করি ।
আমাকে অনুসরণ করুন ।